পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারী রাতে জেলার সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায়। জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ও ইউনিয়নে স্বেচ্ছা সেবকলীগের আহ্বায়ক শেখ মো. সিহাব উদ্দিন গ্রুপের সাথে এ সংঘর্ষ হয়। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান মো. অঅবু হানিফ খান ও ওই ইউপি’র আ.লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সিহাব শেখের মধ্যে বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়। হামলায় গুরুতর আহত সিহাব উদ্দিন গ্রুপের শেখ শহিদ জানান, ওই রাতের ৮টার দিকে ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক শেখ সিহাব উদ্দিন কদমতলা বাজার মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হন। এ সময় তিনি স্থাণীয় বাজার ব্রীজের কাছে আসলে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খানের নেতৃত্বে দা, লোহার রড় ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ১০/১২ জনের একটি দল সিহাবের উপর হামলা চালায়। এ খবর পেয়ে আমরাও সেখানে পৌছলে চেয়ারম্যান নিজে তার হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় হামলায় শাহ আলম শেখ (৬০), শফিজ উদ্দিন শেখ (৪৮), সাইদুল হাওলাদার(৩২) গুরুতর আহত হয়। এ ছাড়া আরো ১০/১২ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে তাদের দাবী। আহতরা জানান, তারা চিকিৎসা নিতে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে যেতে চাইলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন তাতে বাঁধা দেয়। পরে তারা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার এএইচএম মোস্তফা কায়সার জানান, মো. শহিদ শেখ ও শাহ আলম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তবে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ খান ওই হামলায় নিজের কোন সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, গত কয়েক দিন ধরে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সিহাব শেখের লোকজন তার (চেয়ারম্যান) লোকজনকে মারধর সহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে। কিন্তু শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তার (চেয়ারম্যান) লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দাঁড়ানো থাকলে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা সিহাব শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে সাইদুল শেখ (৩৫), সান্টু খান (৫০), এনামুল হক ইরান (৫০), মুক্তিযোদ্ধা লতিফ খান (৬০) ও রনি মৃধা (৩০) আহত হয়। গুরুতর আহত সাইদুল শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ সময় তিনি ইউনিয়ন আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন। পিরোজপুর সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন পুরো শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। পেলে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply